Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইতিহাস

গুরুদাসপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে একটি সুপরিচিত এবং সর্বজন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানব সম্পদ উন্নয়ণ এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্য কারিগরি শিক্ষার অবদান অনস্বীকার্য। এতদাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠিকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করাই এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ প্রতিষ্ঠান যুগোপযোগী ও লাগসই কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে আসছে।

 

দক্ষ কারিগরি নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ও কারিগরি শিক্ষা মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুরুদাসপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ- এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে জেএসসি (ভোক), এসএসসি (ভোক) এবং এইচএসসি (ভোক) শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। চারটি ভিন্ন ভিন্ন টেকনোলজিতে সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিষ্ঠানটি ১০০টি উপজেলায় ১টি করে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়।  

 

কয়েক বছর পূর্বেও ভাবা হত অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী  এবং নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরাই শুধু কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যায়,  যাতে তারা শিক্ষা শেষেই কোন না কোন ছোট চাকুরিগুলোতে ঢুকতে পারে। এই ধারণা যে এখনও নেই তা নয়। কারন বেশিরভাগ সময় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা ভর্তি হয়, তাদের অনেকেই হয় অন্য কোথাও সুযোগ পায়না বা আর্থিক সমস্যার কারণে বা নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে এই বিভাগে ভর্তি হয়।

 

তবে সময় এক থাকে না। সময়ের সাথে ও পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনে এখন মানুষের চিন্তাও পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ পঠিত পুস্তক এর পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষার দিক যাচ্ছেন যাতে বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে বেকার থাকতে না হয়। আর সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো কেও ঢেলে নতুন করে সাজিয়েছেন। আর সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হলো গুরুদাসপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ।

 

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমে ( ইউটিউব, ফেসবুক) ঘরে বসেই তার পছন্দের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে। ফলে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কেউ চাইলে এখান থেকে তার পছন্দের বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে একটি সরকারি সনদ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমান চাকরির বাজারে নিজেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রাখতে পারবে।

 

এখানে রয়েছেন এক দল সুদক্ষ শিক্ষক যারা দিন রাত তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিশ্রম করছেন। এটি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ রাখা হয় না। তাদেরকে যেমন সমান ভাবে প্রশিক্ষন দেয় হয় ঠিক তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক পরিধানে বাধ্য করে তাদের মধ্যে ধনী গরিব ভেদাভেদও দূর করা হয়।